আজ রাত দুইটাই দেশে ফিরবেন সাকিব আল হাসান। এসেই কি বিসির সাথে বৈঠক নাকি দূরত্ব ঠিকই থাকবে বোর্ড আর সাকিবের।
তবে শুরু থেকে সাকিবকে নিয়ে টানা হেচড়া বিসিবির , হাইদ্রাবাদের হয়ে ট্রপি জিতে মুস্তাফিজ দেশে ফিরে পেল, বীরের সম্মান আর লাল গালিচা সংবর্ধনা- দেশের সুনাম ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে বলে।
কলকাতার হয়ে দুইবার ট্রপি জিতে সাকিব দেশে ফিরে পেল "টাকার জন্য খেলে তকমা"।ঠিক একই লীগ জিতে কেউ পায় বীরের স্বীকৃতি, কেউ পায় ঘৃণা।
সাকিব টেস্ট খেলবে না সৌজন্য চিঠি দিলো, বিসিবি অনুমোদন দিল কিন্তু মিডিয়াকেও উসকে দিল।সাথে সাথে এদেশের আমজনতা দাঁড় করাল দেশপ্রেমের নতুন সংঙ্গা। মিডিয়া-বিসিবি-আমজনতা মিলে যাচ্ছেতাই অবস্থা করে ছাড়ল। সাকিব নিশ্চুপ দেশ ত্যাগ করল!
একই দিন মুস্তাফিজ বলল," আমি দেশের হয়ে খেলব, আইপিএল না। যদি বিসিবি সুযোগ দেয় তবে আইপিএল খেলব।"এতে বিসিবি গদগদ হয়ে খুশি হয়ে গেল মুস্তাফিজের দেশপ্রেমে, অভিভূত হয়ে বলল, আমরা মুস্তাফিজ যাতে আইপিএল খেলতে পারে তার সুযোগ করে দিব।"আমজনতা, সাম্বাদিকসহ সবাই আরো একবার সাকিবকে গালি দিয়ে নিজেদেরকে দেশপ্রেমিকের আরো ঊর্ধ্বে নিয়ে গেল।
তারা দেখল না, ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিবের অনবদ্য সেই পারফরম্যান্স।
তারা দেখল না, ওয়াহাব রিয়াজের চোখে চোখ রেখে কথা বলার মধ্যে দেশপ্রেম ছিল। তারা শুধুই সাকিবের ঔদ্ধত্যকে দেখেছিল।
যেদিন ধোনিকে আউট করে বুনো উল্লাসে মেতে উঠে মুস্তাফিজকে ধাক্কা দেওয়ার মধুর প্রতিশোধ নিল, সেদিনো তারা সাকিবের ডেডিকেশন দেখলো না, দেখলো শুধু তার স্বার্থপরতাকে।
ব্রিটিশদের চোখে চোখ রেখে খেলে গেল।বেন স্টোকসকে আউট করে সেলুট দিয়ে হুংকার দিয়ে দেখিয়ে দিলো আমরাও টেস্ট জিততে জানি।তারা এই সাকিবের মধ্যে কেউ দেশপ্রেম দেখলো না।
নিদহাস ট্রপিতে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তগুলোর প্রতিবাদে তারা খুঁজে পেল বেয়াদব সাকিবকে। কেউ তার ডেডিকেশন দেখলো না।
এশিয়াকাপে পাকিস্তানের কাছে হেরে ভেজা চোখের ভিতরে সাকিবের দেশপ্রেম ছিল না।
এইরকম হাজারটা উদাহরণ সাকিবকে নিয়ে দেওয়া যায়।
সাকিব আসলেই এদেশের হয়ে খেলার যোগ্য না।তারপরেও খেলে যাচ্ছে প্রাপ্য সম্মানটুকু না পেয়ে।এরপরেও সাকিব বিশ্বসেরা।শুধু নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বের যেকোন টিমের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে যেকোন ফরমেটে। কারো করুনা দিয়ে নয়।
0 Comments